মাদ্রাসার ইতিহাস

ইসলামের ১ম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিক ( রা) এর ৩৪ তম বংশধর কাশফ বিশিষ্ট অলীয়ে কামেল শাহসূফী আলহাজ্ব হযরত মাওঃ হাতেম আলী  বাগদাদী আল কুরাইশী( র) ১৯৩৯ সালে সুহিলপুর গ্রামে আগমন করেন।তখন বর্তমান মাদ্রাসা দীঘির পাড়ে বন জঙ্গলে ঘেরা একটি ছোট মসজিদে( পরবর্তীতে হযরত বেলাল ( রা) জামে মসজিদ নামে  পরিচিত)  তিনি  সাপ্তাহিকও মাসিক হালকায়ে জিকির কায়েম করে খানকা শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন(পরবর্তীতে খানকায়ে হাতেমিয়া নামে পরিচিত) । খালের পাড়ে একটি  প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। আশে পাশের চল্লিশ গ্রামের মানুষ  এ হালকা  জিকিরে  অংশ গ্রহণ করতে আসে  এবং  হুজুর এর নিকট মুরীদ হয়। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ হুজুরের নিকট দোয়া চাইতে আসে। তিনি ১৯৪৪ সালের ১ মার্চ  তাঁর পীর  মুজাদ্দিদে জামান আলহাজ্ব হযরত মাওঃ আবু বকর সিদ্দিকী( র)  ফুরফুরা শরীফ এর নামে সুহিলপুর আবু বকর সিদ্দিকীয়া সিনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।দীঘির পশ্চিম পাশের বাড়ির কতিপয় দানবীর  ৩২ শতক ভূমি দান করেন। উক্ত ভূমিতে মাদ্রাসার ঘর তৈরি  করে মাও আবদুর রহিম কে সুপারিন্টেন্ডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। আশে পাশের মানুষ হুজুরের আহবানে মৌসুমে ধান চাল গম আলু মরিচ পাট ও নগদ টাকা  দান করে মাদ্রাসা চলমান রাখেন।প্রতি বছর কার্তিক মাসের শেষ রবিবার বার্ষিক মাহফিল হতো দূর দূরান্ত থেকে মানুষ দেশ বরেন্য আলেম ও বুজুর্গদের ওয়াজ নছীহত  শুনতে আসতেন।ঐ দিন টি এলাকার লোকজন এর মধ্যে  ঈদের আমেজ থাকত।লোক সমাগম  বাড়লে  খাল পাড় দোকান পাট বাড়তে লাগলো যা পরবর্তীতে সুহিলপুর বাজার  নাম ধারণ করে। বহু আলেম এই মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করে প্রভাষক  মুহাদ্দিস অধ্যক্ষ সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন।গত ১৫/১২/৫৫ ইং তারিখ মাদ্রাসার প্রথম দাখিল  আলিম মন্জুরী এবং  গত ২১/০২/৬৫ ইং তারিখ প্রথম ফাযিল মন্জুরী প্রাপ্ত হয়।শাহসূফী আলহাজ্ব  হযরত মাওঃ হাতেম আলী বাগদাদী আল কুরাইশী( র) এর ইন্তেকাল এর পর তাঁর সুযোগ্য সাহেবজাদা কুমিল্লা দারুল আমান দরবার শরীফের পীরে কামেল শাহসূফী আলহাজ্ব হযরত মাওঃ আবু বকর সিদ্দিকী আল কুরাইশী মাদ্রাসার  প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।